বসন্তের জন্য অপেক্ষা

Image
  প্রিয় ঋতু কি কেউ জিজ্ঞেস করলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বো। কোনটা প্রিয় ঋতু? সবগুলোই যে প্রিয়! আমার বর্তমান ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য ডেলওয়্যার।এই ডেলওয়্যারে প্রতিটা মৌসুম ভিন্নতা নিয়ে আসে। যেহেতু এখানে প্রতিটা ঋতুর একটা   স্বতন্ত্র অস্তিত্ব  আছে তাই তাদের প্রতি আমার পৃথক পৃথক ভালোবাসা জন্মে গেছে। প্রতিটা ঋতুই নিয়ে আসে অনন্য আমেজ, প্রকৃতি সাজে অনুপম সাজে। সেই সাজ  যেন অন্য ঋতুগুলোর চেয়ে একেবারে ভিন্ন। এই যেমন এখন গুটিগুটি পায়ে এসেছে ঋতুরানী বসন্ত: আকাশে-বাতাসে ঝঙ্কৃত হচ্ছে তার আগমনী সুর, আমি সেই সুর শুনতে পাই।  সবগুলো ঋতু প্রিয় হলেও নিজেকে শীতকালের বড় ভক্ত বলে দাবী করতে পারিনা। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, তার পক্ষে ঠান্ডা আবহাওয়াতে মানিয়ে নেওয়া কার্যত কষ্টকর, বিশেষত সেই শীতকাল যদি চার-পাঁচ মাস স্থায়ী হয়। তাই শীতকাল বিদায় নিয়ে যখন বসন্তকাল আবির্ভূত হয় তখন এক একদিন জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভাবি, "এত্ত সুন্দর একটা দিন দেখার সৌভাগ্য হলো আমার!" শোবার ঘরের জানলা দিয়ে প্রভাতের বাসন্তী রঙের রোদ এসে ভাসিয়ে দেয় কাঠের মেঝে, সাদা আরামকে

ঈদ ২০০৯

দেখতে দেখতে আবার আরেকটি কোরবানীর ঈদ চলে আসলো। কিভাবে দ্রুত সময় চলে যায়। মনে হয় এইতো সেদিন প্রবাস জীবনের প্রথম প্রাণহীন ঈদটা কাটালাম। অনেক বন্ধু জুটেনি বলে কারও সাথে দেখাও হয়নি, আড্ডা দেয়া হয়নি, হয়নি কাউকে ঈদ মুবারাক বলা। ভাবতেও অবাক লাগে যে আমার জন্য প্রবাসের ঈদ কতই না পানসে। বরের সাথে সকালে গেলাম মলে। জানি জানি অনেকেই বলবে যে মেয়েমানুষ শপিং করতে পারলেই খুশি। স্বীকার করতে আপত্তি নেই যে আমেরিকাতে শপিং করে সময় কাটাতে আমার ভালই লাগে, শপিং আমার জন্য এক ধরনের recreation এই দেশে, যেটা দেশে ছিলনা কারন দেশে সবসসময়ই করবার জন্য হাতে কোন না কোন কাজ থাকতো। না থাকলেও ফোনে কথা বলবার মানুষ ছিল, ছিল বন্ধুরা, মা, খালাতো বোনেরা। তো যাই হোক, মূল কথাতে ফেরত আসি। সকালে নাস্তা সেরে বের হলাম, উদ্দেশ্য shopping mall। আজ এখানে বছরের সবচেয়ে বড় sale ছিল, যাকে এখানের মানুষেরা বলে Black Friday. মলে গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষ, প্রচুর জিনিষ, প্রচুর মানুষ ধুমসে্‌ কেনাকাটা করছে, দেখে বোঝার উপা্য় নেই যে দেশটি একটি বড় ধরনের মন্দার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। দেখে ভাল লাগলো, ছোট বাচ্চাগুলোকে দেখে নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, ঈদ এর আগে কেনাকাটা করতে বের হলে যেমন খুব আগ্রহ নিয়ে নতুন জামা কিনতাম, অনেকটা সেইরকম।

টুকটাক কেনাকাটা করে, সপ্তাহের বাজার শেষ করে বাসায় এসে একটা ঘুম দিয়ে উঠে এখন এই ব্লগ লিখছি। একটু পর বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলবো সবার সাথে, কি কি রান্না হবে, কখন কোরবানী হবে জানতে চাইবো, আর শুধু বলব, ইস্‌, আমি সব মিস্‌ করছি। :( :(

Comments

Popular posts from this blog

A personal journey through the captivating landscape of Bengali literature

Cashmere: Soft, luxurious, sought-after

January Blues