Posts

Showing posts from July, 2015

বসন্তের জন্য অপেক্ষা

Image
  প্রিয় ঋতু কি কেউ জিজ্ঞেস করলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বো। কোনটা প্রিয় ঋতু? সবগুলোই যে প্রিয়! আমার বর্তমান ঠিকানা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য ডেলওয়্যার।এই ডেলওয়্যারে প্রতিটা মৌসুম ভিন্নতা নিয়ে আসে। যেহেতু এখানে প্রতিটা ঋতুর একটা   স্বতন্ত্র অস্তিত্ব  আছে তাই তাদের প্রতি আমার পৃথক পৃথক ভালোবাসা জন্মে গেছে। প্রতিটা ঋতুই নিয়ে আসে অনন্য আমেজ, প্রকৃতি সাজে অনুপম সাজে। সেই সাজ  যেন অন্য ঋতুগুলোর চেয়ে একেবারে ভিন্ন। এই যেমন এখন গুটিগুটি পায়ে এসেছে ঋতুরানী বসন্ত: আকাশে-বাতাসে ঝঙ্কৃত হচ্ছে তার আগমনী সুর, আমি সেই সুর শুনতে পাই।  সবগুলো ঋতু প্রিয় হলেও নিজেকে শীতকালের বড় ভক্ত বলে দাবী করতে পারিনা। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, তার পক্ষে ঠান্ডা আবহাওয়াতে মানিয়ে নেওয়া কার্যত কষ্টকর, বিশেষত সেই শীতকাল যদি চার-পাঁচ মাস স্থায়ী হয়। তাই শীতকাল বিদায় নিয়ে যখন বসন্তকাল আবির্ভূত হয় তখন এক একদিন জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভাবি, "এত্ত সুন্দর একটা দিন দেখার সৌভাগ্য হলো আমার!" শোবার ঘরের জানলা দিয়ে প্রভাতের বাসন্তী রঙের রোদ এসে ভাসিয়ে দেয় কাঠের মেঝে, সাদা আরামকে

Wildflowers

Image
"Like wildflowers; You must allow yourself to grow in all the places people thought you never would."  I spotted these pretty, purple wildflowers yesterday while taking a walk around our apartment complex.

ল্যান্ডলাইন ফোন

Image
একটা সময় বাসায় “একটি” টেলিফোন থাকাই বিশাল ব্যাপার ছিল। মনে আছে বাসায় যখন প্রথম ল্যান্ডফোনের লাইন এসেছিল, সে কি উত্তেজনা! নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিককার কথা বলছি। এনালগ ফোনসেটগুলোতে তখন ছিল রোটারি ডায়াল। বেশিরভাগের বাড়িতেই সবুজ, কাল অথবা ঘিয়ে রঙের ফোনসেট দেখা যেত। ফোনের সেই লাইন পেতে অবশ্য আমাদের অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আমাদের মতন দেশগুলোতে যা হয় আর কি। টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বোর্ডের অতিপ্রিয় খাদ্য হচ্ছে ঘুষ। তারা আমাদের বাসায় একটি সবুজ রঙের ফোনসেট দিয়ে গেল কিন্তু লাইন দিল না। লাইন ঠিক সময়ে পাবার জন্য নাকি ঘুষ দিতে হবে। আব্বু কিছুতেই ঘুষ দিবে না, দুনিয়া উল্টে গেলেও না। ফলে আমাদের প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হল একটি ফোনলাইন পাবার জন্য। এই এক বছর আমি আর ভাই প্রতিদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে ফোনসেট তুলে দেখতাম লাইন দিল কিনা! একদিন স্বপ্ন পূরণ হল – সেট তুলতেই দেখি পোঁ… শব্দ হচ্ছে। এখন তো মানুষের হাতে হাতে ফোন। কারও কারও দু’হাতে দু’টো করেও ফোন দেখি! কিন্তু আগের মতন ফোনে “হ্যালো” বলবার আনন্দটা আর পাই না। এখন অনেক সময় মোবাইল ফোনটা বেজেই চলে কিন্তু ইচ্ছেও করেনা হাত বাড়িয

পরিবর্তন করতে হবে সবার আগে নিজেকে

রাজনের ঘটনাটি আমাদের ভিতরটাকে তোলপাড় করে দিয়েছে। কিন্তু দু'দিন না যেতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম বাংলাদেশে আরও একটি শিশুকে লোহার পাত দিয়ে প্রহার করবার ভিডিও। মানসিক বিকৃতি কোন পর্যায়ে গেলে শিশুদের উপর এমন নির্যাতন করতে পারে মানুষ? পৃথিবীর সবচাইতে নরম, কোমল, নিষ্পাপ এবং দূর্বল মানুষ হচ্ছে শিশুরা। কিন্তু কি বলুন তো রাজনের মত হয়তো প্রাণ দিচ্ছে না কিন্তু প্রতিদিন আমাদের দেশে নির্যাতিত হচ্ছে বহু শিশু। এদের সবার নির্যাতনের গল্প, ছবি আর ভিডিও আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে পাই না, কিন্তু তাই বলে কি প্রতিদিন বহু শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে না? হচ্ছে। আমাদের অনেকের বাড়িতেই যে ছোট ছেলে অথবা মেয়েটি কাজ করে তার গায়ে আমরা অনেকেই দু’বার চিন্তা না করে হাত তুলে ফেলি। সেদিন দেখলাম প্লেট ভাঙ্গার অপরাধে একটি ছোট মেয়েকে শাস্তি দিয়েছে তার ম্যাডাম। ম্যাডাম সে মেয়েটির নরম, কোমল হাত ক্ষত-বিক্ষত করেছে ভাঙ্গা প্লেটের টুকরো দিয়ে। যে শিশুটি পেটের দায়ে কাজ করছে দোকান, কারখানা, গাড়ির ওয়ার্কশপ অথবা রেস্টোরান্টে তার গায়েও তার মালিক অথবা বয়সে বড় অন্যান্য কর্মচারীরা অনায়াসে চড়, কিল, ঘুষি, লাথি বসিয়ে দেয়

Thought of the day (66)

Image
কিছু মানুষ হচ্ছে কচ্ছপের মতন। তারা ভালবেসে আপনাকে এমন কামড় দিবে যে আপনি কিছুতেই ঐ কামড় থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন না। হাত-ঠ্যাং শরীর দেখে আলাদা হয়ে যাবে যদি মুক্ত হবার চেষ্টা করেন! আমি ভাগ্যবতী আমার জীবনে বেশ ক'জন কচ্ছপ স্বভাবের মানুষ আছে। যদিও আমি মাঝেমাঝে চেষ্টা করি নিজেকে মুক্ত করবার কিন্তু পঙ্গু হয়ে যাবার ভয়ে বেশি দূর এগুতে পারিনা। *Photo taken at Smithsonian's National Zoo.

যদি দানব কখনও বা হয় মানুষ, লজ্জা কি তুমি পাবে না?

মানুষরূপী দানবেরই যেন দেখা পেলাম আমরা। আজ ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে প্রথম যে পোস্টটি চোখে পড়েছিল সেটি তের বছর বয়সী রাজনের দু'টি ছবি। ছবিগুলো দেখলাম, খবরটি পড়লাম কিন্তু আমি দূর্বল হৃদয়ের মানুষ, একটি শিশুকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চারজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (দানব শব্দটি বেশি মানানসই) মেরে ফেলছে সেটি দেখা এবং সহ্য করা আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয় । আমি ভিডিওটি দেখিনি। শুধু আমি নই, আমার মত আরও অনেকই দেখেননি ভিডিওটি, না দেখেই তারা অঝোরে কেঁদেছেন। আমিও কেঁদেছি, এখনও টাইপ করতে বসে চোখ বারবার ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। দু'বছর আগে মা হবার পর থেকে এই সমস্যার শুরু। কোন শিশুর কষ্ট অথবা মৃতদেহ দেখলে দু'চোখ ভিজে উঠে। ঐ শিশুটির জায়গায় নিজের সন্তানকে কল্পনা করি। জানিনা যারা শিশুটিকে খুন করল এরা কি কারও পিতা কিনা, পিতা হলে বলতে হয়, এদের পৃথিবীর কোন শিশুর পিতা হবার যোগ্যতা নেই। পশুরাজ্যে এক পশু অন্য প্রজাতির পশুর সন্তানকে কোলেপিঠে করে বড় করেছে এমন নজিরও আছে। আর সেখানে আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে একে অন্যকে নৃশংসভাবে খুন করি। এখন আমাদের মানসিক বিকৃতি এমন পর্যায়ে পৌঁছছে যে আমরা শিশু নির্যাতন আর হত্য

Stargazing

Sitting on the grass, looking at the sky, Have you ever wondered what mysteries the heavens hold? Those sparkles that light up the sky,  How far or big they are? How sitting under that celestial  sphere makes you feel no more significant than a grain of sand?   How stargazing subsides anger, and shoos the grief of an aching heart?  How it leaves the eyes dreamy but the mind at peace?  While the universe may be infinite, the man is finite, finite in every way.  And the star-studded sky is a gentle reminder of it.

Thought of the day (65)

Most of the time, most of us don’t admit that we have committed any mistakes. It’s an ego thing, you know. We tend to think it’s all THEIR fault, and not MINE. We start a blame game instead of trying to find the solution to a problem.  Facebook page

Thought of the day (64)

One of those days when a family member is ill but you cannot see him because you live some 8,000 miles away from your homeland. I have been on the phone the entire morning, talking to family members living in Bangladesh and here in the United States. It's one of those days when even the voice of a relative gives you solace...

উবার

Image
উবার (Uber) একটি ইংরেজী শব্দ। আমার অভিধানে খুব বেশি আগে যোগ হয়নি এই শব্দটি। এর মানে হচ্ছে দারুণ বা অসম্ভব ভাল। যাই হোক, উবার শব্দটি প্রথম জানলাম New York গিয়ে ২০১৩ সালে এক বান্ধবীর বদৌলতে। ট্যাক্সি খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তখন ও বলল, "উবার এর আ্যাপ ডাউনলোড করে ওখান থেকে ট্যাক্সির জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাও!" এরপর যতবার New York অথবা Washington, D.C. যাওয়া হয়েছে দেখা গেছে আমরা উবার ব্যবহার করেছি। এখন উবার পৃথিবীর ৫৮টি দেশে, প্রায় ৩০০টি শহরে চলছে। গতকাল আমি প্রথম আমার মোবাইল ফোন থেকে উবারে রিকোয়েস্ট পাঠালাম। আ্যাপে উঠল ড্রাইভারের নাম, ছবি, গাড়ির মডেল, সে কোথায় আছে এবং আমার বাড়িতে পৌঁছতে তার কত মিনিট লাগবে। খুব উচ্চপ্রযুক্তির ব্যবহার স্বীকার করতেই হবে! গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে বলতেও হল না কোথায় যাব, আ্যাপ থেকে যখন রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি তখন সেখানে ঠিকানা দিয়েছিলাম আর সেটি পৌঁছে গেছে ড্রাইভারের কাছে। ভাড়া দেয়ার ঝামেলাও কম। একাউন্ট সেট আপ করবার সময় সেখানে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার দিতে হয়। একটি রাইডের পর সেই কার্ডটি চার্জ করে উবার। সাধারণ ক্যাবে উঠলে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হয় যেম